পেকুয়া প্রতিনিধি ;
কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিমদাঁদ মিয়ার ঘাট এলাকার একটি নির্মাণাধীন বরফ মিলে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।
শনিবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার উজানটিয়া করিমদাঁদ মিয়ার ঘাট এলাকায় এঘটনা ঘটে।
গভীর রাতে ডাকাতেরা বরফ মিলে ঢুকে শ্রমিকদের অস্ত্র তাক করে জিম্মি করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে লৌহা কাটার মেশিন,মোবাইল ও নগদ টাকাসহ মুল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের হামলায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহতেরা হলেন, একই ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গা পাড়ার মোঃ নাজুর ছেলে নৈশ প্রহরী আরিফ (৩০) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের পূর্ব গোয়াঁখালী এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে হারুন মিস্ত্রি (৩৫) ও তার ভাই মোঃ রাজিব (২৮), মগনামার ইউনিয়নের বদিউল আলমের ছেলে আব্দুল হামিদ (২৯)।
আহত পাহাদার আরিফ জানান, রাত ২ টার দিকে ৫/৬ জন সন্ত্রাসী মূখোশ পরিহিত অবস্থায় এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে হাত ও মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে বরফ মিলে ঢুকে অন্যান্য শ্রমিকদের অস্ত্র তাক করে জিম্মি করে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। অন্য ডাকাতরা লৌহা কাটার মেশিন,মোবাইল ও নগদ টাকাসহ মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা দ্রুত চলে যায়। মুখোশ পরিহিত থাকার কারণে কাউকে চিহ্নিত করতে পারিনি।
নির্মাণাধীন মিলের পরিচালক এস এম সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, আমার পাহারাদার ও শ্রমিকেরা জানিয়েছেন,
এই এলাকার কিছু চাঁদাবাজ, মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের নির্মাণধীন বরফ মিলে গভীর রাতে প্রবেশ করে শ্রমিকদের হাত পা বেঁধে পিটিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিন আগেও এই এলাকার বিভিন্ন বসতবাড়িতে ঢুকে মোবাইলসহ মুল্যবান নিয়ে গেছে। কয়েকদিন আগেও রাস্তার কাজের টিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছেন এবং ঘাটে অবস্থানকারী ভলগেট এর লোকদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তাদেরকে মারধর করেছে বলেও জেনেছি।
আমার সন্দেহ নির্মাণাধীন বরফ মিলে ডাকাতি ও শ্রমিকদের মারধর করে চিহ্নিত চাঁদবাজ ও মাদকসেবী সন্ত্রাসীরা এই মালামালগুলো লুট করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।