

টানা তিন দিনের মতো কক্সবাজারে ভারি বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গতকাল বিকেল ৩টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে কক্সবাজারে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় মোট বৃষ্টিপাতের পরিমান ৫০১ মিলিমিটার। এটি ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারি বৃষ্টিতে পর্যটন শহরের ৯০ শতাংশ এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা রয়েছে। প্রধান সড়ক সহ শহরের ৫০ টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। ওই সব এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয়েছে মালামাল। বসত বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
পর্যটন জোন কলাতলীর হোটেল মোটেল এলাকার সকল সড়ক, সৈকত সংলগ্ন এলাকা, মাকের্ট সমুহ ডুবে আছে পানিতে। কলাতলী সড়কের দুই পাশের পাঁচ শতাধিক হোটেল গেস্ট হাউসে যাতায়াতের ২০টি উপসড়কও ডুবে যায়। ফলে আগত কয়েক হাজার পর্যটক হোটেলের কক্ষেই বন্দি আছেন।
শহরের প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, বড়বাজার, মাছবাজার, এন্ডারসন সড়ক, টেকপাড়া, পেশকারপাড়া, বার্মিজ মার্কেট এলাকা, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, গোলদিঘিরপাড়, তারাবনিয়াছড়া, রুমালিয়ারছড়া, বাাঁচা মিয়ার ঘোনা, পাহাড় তলী, সমিতিপাড়া, কুতুবদিয়াপাড়া, ফদনারডেইল, নুনিয়াছড়া, বৈদ্যঘোনা, ঘোনারপাড়া, বাদশাঘোনা, খাজা মঞ্জিল, লাইটহাউস, কলাতলী, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, লারপাড়া এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সংখ্যা অন্তত ৫ লাখ।
কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে এই ওয়ার্ডের ১০ হাজার ঘরবাড়ি ডুবে যাবে। এই ওয়ার্ডে ৮০ হাজার শ্রমজীবী মানুষের বসবাস।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলের পানিতে পাহাড়তলীর তিনটি সড়ক ডুবে কয়েক শ ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে ৩ টি ব্রীজ। ফলে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে আছেন মানুষ।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ভারী বর্ষণে হোটেল মোটেল জোন এখন পানিতে সয়লাব। কলাতলী সড়ক, সকল উপ সড়ক, সৈকত সংলগ্ন ছাতা মাকের্ট, হোটেল লাবণী থেকে সুগন্ধা এলাকা এখন পানি আর পানি।
এই বৃষ্টিতে কক্সবাজারে সদর উপজেলা এবং উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককূল এলাকায় পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতের পর কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল এলাকা এবং উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক এ পাহাড় ধসের এঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ডিককূল এ মিজানুর রহমানের স্ত্রী আখি মনি (২১) এবং তার দুই শিশু মিহা জান্নাত নাঈমা (৫) ও লতিফা ইসলাম (১)।
এছাড়া নিহত অপর তিনজন উখিয়ার ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ ও আব্দুল ওয়াহেদ।
ঝিলংজা ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২ টার দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সময় মিজানুর রহমানের বাড়ীর উপর বিকট শব্দে আকস্মিক পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে। এতে গৃহকর্তাসহ পরিবারের ৪ জন মাটিচাপা পড়ে। পরে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থল থেকে মিজানুরকে জীবিত উদ্ধার করে। এরপর স্থানীয়রা মাটি সরিয়ে অপর ৩ জনকে মৃত উদ্ধার করে।
স্থানীয় এ ইউপি সদস্য জানান, মিজানের বাড়িটি খাড়া পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে অব্যাহত ভারী বর্ষণের সময় পাহাড় ধসে বাড়ির উপর মাটি চাপা পড়েছে।
এদিকে পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজা নয়ন বলেন, অব্যাহত ভারী বর্ষণে উখিয়ার ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিনটি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে মাটি চাপায় একই পরিবারের তিন সহোদরের মৃত্যু হয়েছে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা বিধ্বস্ত ঘর বাড়িতে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে মাটি সরিয়ে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ভারী বৃষ্টিতে টেকনাফ ও উখিয়ার অন্তত ৮০ টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফের ৬০ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। টেকনাফ সদর, হোয়াইক্যং, হ্নীলা, বাহারছাড়া ও সাবরাং ইউনিয়নের এসব গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উখিয়ার রাজাপালং, জালিয়াপালং, হলদিয়াপালং ও পালংখালী ইউনিয়নের আর ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, ঝিলংজায় পাহাড় ধসে নিহত তিন জনের পরিবারকে ৭৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে। পানিবন্দি এলাকার তালিকা তৈরি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার কাজ করা হচ্ছে।
উখিয়া :
উখিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আহমদ জানিয়েছেন, উখিয়ায় বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ২ দিন টানা ভারী বর্ষণ পাহাড়ী ঢল ও সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত অর্ধশত গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, গ্রামীণ সড়ক লন্ড ভন্ড কালভার্ট বিধ্বস্ত গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া , ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, মনির মার্কেট, রুমখা পালং, বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া, খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল,হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃ কাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৫০ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, রুমখা চৌধুরী পাড়া, বউ বাজার, পাগলির বিল, বড়বিল, মনি মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। সবজি ক্ষেত সহ আমন মৌসুমের ধানের চাষাবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় মৎস্য চাষীরা জানান, মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে পানি ডুকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া,নম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন ইউনিয়নের পানিতে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভেরিফাই ফেইস বুকে এক জরুরি বার্তায , পাহাড়ের পাদদেশে ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত জনগণকে নিরাপদ স্থানে কিংবা পার্শ্ববর্তী সাইক্লোসেন্টার আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান প্রবল পানির স্রোতে ধান চাষ,সবজি খেত ও পানের বরজ নষ্ট হয়েছে।
গ্রামীন অভ্যন্তরীণ কাঁচা রাস্তা ও কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম কাউসার ।তবে তাৎক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণ বলতে পারছে না তিনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরো জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেনের নির্দেশনায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক দল ও সিপিপি সদস্যরা প্লাবিত এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ স্থানের সরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিটি ইউনিয়নে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক ও সিপিপি সদস্যরা সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপজেলা ফোকাল পার্সন আল মুবিন।
জালিয়া পালং , হলদিয়া পালং ও পালংখালী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন জানান জনপ্রতিনিধি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র গুলো খোলা রাখা হয়েছে। সাইক্লোন সেন্টারে আশ্রয় নেওয়া মানুষগুলোকে হট মিল সহ শুকনো খাবার বিতরণ সহ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন।
চকরিয়া-পেকুয়া:
স্টাফ রিপোর্টার মিজবাউল হক জানিয়েছেন, টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে চকরিয়া-পেকুয়ার বিভিন্ন নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, বিএমচর, কোনাখালী ও বদরখালী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্তত ২০ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে। এছাড়া আমন ধানের ক্ষেত ও শীতকালিন বিভিন্ন সবজির চারা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
মানকিপুর-সুরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, মানিকপুর এলাকায় বৃষ্টিতে নিচু এলাকার অন্তত ২শতাধিক ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামন বলেন, আমার ইউনিয়নের পহরচাঁদা, গোবিন্দপুর ও ডেইঙ্গাকাটা এলাকায় অধিকাংশ ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তাদের নিরাপত্তা ও শুস্ক খাবার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার লোকজন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অধিকাংশ চিংড়িঘের বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির ডুবে গেছে ধান ও সবজির ক্ষেত। এই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মাতামুহুরী নদীতে উজানের পানি নামলে রাতে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এলাকার খোঁজখবর রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ও নদীর তীরবর্তী অবস্থানরত লোকজন নিরাপদে সরিয়ে যেতে উপজেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তত রয়েছে বলেও তিনি জানান।