অনলাইন ডেস্ক: আগামী ২১তম জাতীয় সম্মেলনের আগে মহানগরী, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে তরুণদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। ২০তম জাতীয় সম্মেলনে বেশ কয়েকজন তরুণকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে স্থান দেয়া হয়েছে। তাদের পারফরমেন্সেও সন্তুষ্ট দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। এ কারণে এবার সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত তৃণমূল আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের কমিটিতেও তরুণদের স্থান দিতে চান তিনি।তাই আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবার জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণদের হাতে সাংগঠনিক দায়িত্ব তুলে দিতে কাজ করছেন। তবে প্রবীণ নেতাদের কোনোভাবেই অসম্মান বা অমর্যাদা করে নয়, তাদের দলের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ফোরামগুলোতে স্থান দেয়া হবে। সেখানেও প্রবীণদের রাজনৈতিক ত্যাগের কথা বিবেচনায় নেয়া হবে। এছাড়া প্রবীণ আওয়ামী লীগারদের ধীরে ধীরে বিভিন্ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি করে সম্মানও জানাবে সরকারি দল।
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগে তৃণমূলে উল্লেখযোগ্য হারে তরুণ নেতৃত্ব আসবে। তবে যারাই আসুক প্রবীণদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করবেন তরুণ নেতারা।’
গত মঙ্গলবার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আসলে ছোটবেলা থেকে এই দলটিকে দেখে এসেছি। আর বড় হওয়ার পর বিভিন্ন মানুষের কাছে বিরোধী মন্তব্য শোনার পর নিজেও যুক্তি দিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে, বাঙালি হিসেবে গর্ব করতে আওয়ামী লীগ সমর্থন করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
ঢাকার ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভল বলেন, ‘আমরা সব সময় কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে থাকি। কেন্দ্র আমাদের যখন যে নির্দেশ দেয়, আমরা সেই নির্দেশ পালন করি। দলে দক্ষ ও মেধাবী-ত্যাগীদের মূল্যায়ন হলেই দুঃখ-কষ্ট ভুলে যাই।’
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল বলেন, ‘জন্মের পর থেকেই বাপ-চাচাদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অল্প বয়সে রাজনীতি শুরু করেছি। এবারের দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে তৃণমূল থেকে নেতৃত্ব তুলে আনার প্রচেষ্টা অবশ্যই দলকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করবে।’
কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিক বলেন, ‘যেকোনো দল বা সংগঠনে যখন দক্ষ ও ত্যাগী-পরিশ্রমী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়, সেই সংগঠন কিংবা দল অনেক শক্তিশালী হয়।, দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করায় আওয়ামী লীগ পর পর টানা তৃতীয় মেয়াদে সফলতার সঙ্গে দেশ পরিচালনা করছে।’
বঙ্গবন্ধু জয়বাংলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল বলেন, আওয়ামী লীগ বরাবরই তরুণ ও মেধাবী নেতাকর্মীদের দলে টানছে। একইসঙ্গে তাদের আরো দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলছে। এই রীতি অন্য কোনো দলে নেই বললেই চলে। এই প্রক্রিয়া অব্যহত থাকলে আজীবন আওয়ামী লীগের কর্মী হয়েই বাঁচতে চাই।