নিজস্ব প্রতিবেদক :-
কক্সবাজারের পেকুয়ায় শ্রমিকদল নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে শওকত হত্যাকাণ্ডের একমাসের মত সময় হলেও কোনো আসামি ধরা পড়েনি।
এদিকে এখনো কোনো আসামি ধরা না পড়ায় এই হত্যা মামলার অগ্রগতি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিহত শহিদের পরিবার। আসামিদের ধরতে পুলিশও উদাসিন বলে মামলার বাদি অভিযোগ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পনা মতে পেকুয়া বাজারে গত ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলামকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় তার ভাই সাকের ও চাচাতো ভাই তারেক গুরুতর আহত হয়।
নিহতের ভাই ওই ঘটনার ভিকটিম বাদি মোঃ সাকের জানান, পেকুয়া সদর ভোলাইয়্যাঘোনা চর পাড়া এলাকার বাসিন্দা বদিউল আলম, সাজ্জাদ হোসেন, ওয়াজিদ, রাসেল, তৌহিদ, ইমরান, খোরশেদ, নুরুল আবছার, মনির, সোহেল, রশিদ আহমদ, মোঃ শওকত, নওশা মিয়া, আহমদ শফি, মাহমুদ নুর, সিকদারসহ আরো বেশ কয়েকজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী পরিকল্পনা করে আমার ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করে। ওই সময় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আমি ও অপর চাচাতো ভাই তারেক গুরুতর আহত হয়। হাসপাতালে আমার ভাই শহিদুল ইসলাম মারা যায়। আমি একটু সুস্থ হলেও তারেক হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমার ভাই শহিদকে প্রকাশ্যে হত্যা করে ওই সন্ত্রাসীরা। পুলিশ এখন পর্যন্ত একজন আসামীকে ধরাতো দূরের কথা, কোন ধরণের সহযোগিতা পর্যন্ত করতেছেনা। আমরা যতটুকু জেনেছি, আসামী কক্সবাজার আর চট্টগ্রামে অবস্থান করতেছে। আমরা বিগত সময়ে বার বার ওসির সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তিনি কোন ধরণের সহযোগিতা করেনি। বর্তমানে নতুন ওসি পেকুয়া থানায় যোগদান করেছে। আশা থাকবে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা পাবো। আসামীদের গ্রেফতারে সহযোগিতা করবে।
নিহত শহিদের অপর ভাই জাকের হোসেন বলেন, আমার ভাইকে হত্যা করেছে। ভাইকে আর ফিরে পাবোনা। তবে আশা করবো হত্যাকারীরা যেন পার না পায়। আশা নিশ্চিত করে বলতেছি কোন নিরপরাধ ব্যক্তি এজাহারে আসামী হয়ে থাকলে অবশ্যই মামলা থেকে বাদ যাবে। এজাহারে উল্লেখিত আসামী ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন ঘটনায় সরাসরি জড়িত। তাৎক্ষনিক মামলা রেকর্ড করতে গিয়ে তাদেরকে আসামী করা হয়নি। সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়ার পর আমরা তাদেরকে সনাক্ত করেছি। আশা করি চার্জশিটে তারা আসামীর তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাসুক মোঠোফোন রিসিভ না করলেও পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল মোস্তফা জানান, ওনি নতুন যোগদান করেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিস্তারিত জানাবেন।
গত ২৬ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে ওয়াপদা অফিসের সামনে পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিকদলের সাবেক সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম প্রকাশ শওকতকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আহত হয় নিহত ভাই সাকের ও তারেক৷ এর তিনদিন পর হত্যা মামলা দায়ের হয়। যার মামলা নং ০৭/২০২৪ইং