ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যার বিচার দ্রুত তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন, সংশোধন হবে আইন


জুলাই-আগস্ট ‘গণহত্যার’ পুরো চিত্র এখনো স্পষ্ট হয়নি। শহীদদের সুনির্দিষ্ট তালিকাও হয়নি এখনো। আটশ’ পঞ্চাশ থেকে এক হাজার মানুষ মারা গেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে বলা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব ঘটনার বিচার হবে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে। এ আইনের অধীনে এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দ্রুতই তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন হবে বলে আইন মন্ত্রণালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া, আইনে সংশোধনী আসবে এবং ট্রাইব্যুনালে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এ ব্যাপারে মানবজমিনকে বলেন, এখন প্রথমত, তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। তারপরই তদন্ত দ্রুত শুরু করা যাবে। এরইমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ট্রাইব্যুনাল গঠন করা দরকার। কারণ ট্রাইব্যুনাল না থাকলে আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় আবেদন করা যাবে না। প্রসিকিউশন টিমেও আরও প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। আইনের সংশোধনের বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করে বলে জানান তিনি।
আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র গতকাল উল্লেখ করেন, এ আইনে কিছু সংশোধনী আসবে। তবে এটি সময়সাপেক্ষ কাজ নয়। এর আগে তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে হবে। এজন্য দ্রুতই তদন্ত সংস্থা পুনর্গঠন করা হবে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, যাত্রাবাড়ী, সাভার, রামপুরার ঘটনাগুলো শুরুতে তদন্তে জোর দেয়া হবে। এর যেকোনো একটি ঘটনার তদন্ত শেষেও বিচার শুরু করা যেতে পারে।
এর আগে আইনবিদরা ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনীর পরামর্শ দিয়েছিলেন। ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ শিশির মনির বলেন, জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু হত্যা মামলা দিয়ে এসব জঘন্য ঘটনার ন্যায় বিচার সম্ভব নয়। এসব অপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে বিচারই যথাযথ। কারণ এ আইনে নির্দেশদাতা, সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি যাদের তাদের বিচারের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে।